কিছু দিন আগে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেছেন, “ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে কাউকে রাজনিতি করতে দেয়া হবে না।” (সূত্র: প্রথম আলো; ৮, আগস্ট, ২০১৫ ঈসায়ী)
সরকার প্রধানের বক্তব্য দ্বারা এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, কোনো ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা যাবে না, এটা সরকার বরদাশত করবে না। আর খোদ সরকারের দ্বারা এমন কার্য সম্পাদন হওয়াতো প্রশ্নই উঠেনা।
কিন্তু বাস্তবতায় আমরা কি দেখতে পাচ্ছি? পবিত্র কুরবানিতে মুসলমানদের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করে সরকারি মহল যে নিয়মনিতি চাপিয়ে দিচ্ছে তা কি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নয়? কেউ তার বাড়ির আঙ্গিনায় নিজের পছন্দমতো লোক দিয়ে, নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে সহি-শুদ্ধভাবে সুন্নতী কায়দায় পবিত্র কুরবানি করতে পারবে না -এমন নিয়ম জারি করা কি ধর্মীয় স্বাধীনতা পালনে বাধাগ্রস্ত করা নয়?
সরকারকে একটি কথা সরণ রাখতে হবে- দিল্লির মসনদের বাদশাহ জাহাঙ্গীর ও বাদশাহ আকবর (হিন্দুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে) গরু কুরবানির বন্ধের চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েছিলেন পবিত্র কুরবানির বিধানকে আরো প্রশস্ত করে জারি করতে। কাজেই আজকে ইসলামবিদ্বেষীরা যে পরিবেশ রক্ষার অজুহাতে কুরবানি বন্ধের কৌশলে নেমেছে, সেটাতেও তারা সফল হতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ! কারণ অবান্তর যুক্তি দেখিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক উদ্ভট নিয়ম নিতি চাপিয়ে দেয়ার রাজনিতি জনগণ বরদাশত করবে না।