এবারের পবিত্র কুরবানিতে সরকারের অসহোগিতা ও অবহেলা ছিলো বহুল সমালোচিত একটি বিষয়। কুরবানিদাতাদের মুখে মুখে শোনা গেছে সরকারের অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ও পশু সঙ্কট সৃষ্টির সমালোচনা। মানুষের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ সঞ্চার করেছে কুরবানির হাটে এই কৃত্রিমভাবে পশু সঙ্কট ও আকাশচুম্বি দাম। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার পশুর উচ্চমূল্যের ফলে কুরবানি করেছে কষ্ট করে। কষ্ট করে অনেকে দিলেও কুরবানি করে কেউ তৃপ্ত হতে পারেনি; বরং মানুষ রীতিমত ক্ষুব্ধ। তাই এবার মুসলমানদের মাঝে কুরবানি নিয়ে আনন্দ, উৎফুল্ল ও প্রাঞ্জলতা দেখা যায়নি। এসব কিছুর পেছনে একটিই কারণ- সরকারের উদাসীনতা, অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ও কুরবানিবিদ্বেষীদের স্বাধীন স্বেচ্ছাচারিতার কু-প্রভাব।
পক্ষাপন্তরে প্রতি বছরই দেখা যায় দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ১.৫ শতাংশেরও কম সংখ্যক হিন্দুদের জন্য সরকার ও প্রশাসন যারপরনাই মায়া-মমতা, সাহায্য-সহযোগিতার জন্য দাঁড়িয়ে যায়। হিন্দুরা ‘চাহিবা মাত্র দিতে বাধ্য থাকিবে’ এমন অদৃশ্য নিতি পালনে সদা প্রস্তুত থাকে প্রশাসন। প্রশাসন কি দেশে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র কায়েম করতে চায়? দেশের ৯৮ ভাগ মুসলমানের প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করে জনরোষে পতিত হতে চায়? এবারের হিন্দুদের দুর্গাপূজায় দেশের প্রশাসন কতোটা হিন্দুপ্রীতি মনোভাব দেখায় তা দেখার জন্য দেশের ৯৮ ভাগ বিক্ষুব্ধ মুসলমান দেখবে। বরাবরের মতো এবারও যদি সরকার হিন্দুদের পূজায় সাহায্য-সহযোগিতা করে তবে এটাই প্রমাণিত হবে যে প্রশাসন আসলে ভারতপন্থী উগ্র হিন্দুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং সরকারও দেশে হিন্দুবাদ প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর।