ইউরোপ-আমেরিকা থেকে সন্ত্রাসবাদী ইহুদী-খ্রিস্টানরা কট্টর ওহাবী সউদী সরকারের সহায়তায় মুসলিম দেশগুলোতে ইসলামের নামে বহু সন্ত্রাসবাদী সংগঠন সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে তালেবান, আল-কায়দা, আইএসআইএল-এর মতো বহু ওহাবী-ছালাফী মতবাদের অনুসারী সংগঠন বর্তমানে সিরিয়া, ইরাক, পাকিস্তান, আফগান, লিবিয়াসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে পবিত্র মসজিদ, পবিত্র মাজার শরীফ ধ্বংস করে যাচ্ছে, নির্বিচারে মুসলমানদের শহীদ করে যাচ্ছে। এসব সংগঠনের অন্ধ অনুসারী রয়েছে আমাদের দেশের ওহাবী, সালাফি, খারেজি, লা-মাযহাবীদের পরিচালিত মাদরাসাগুলোতে, যে মাদরাসাগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং হচ্ছে ‘বিদেশী অনুদান’-এর নামে সউদী ও পশ্চিমাদের অর্থায়নে।
এসব মাদরাসায় পবিত্র কুরবানির চামড়া কিংবা তার মূল্য, আর্থিক সাহায্য করা, যাকাত দেয়া মূলত সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে শরিক থাকার শামিল। এতে যাকাত, ফিতরা, ওশর, দান ছদকা, পবিত্র কুরবানির চামড়া ইত্যাদি দান করলে তা কবুলতো হবেই না, বরং ইসলামে নিষিদ্ধ কাজে সহায়তা করার জন্য পরকালে দাতাকেও জাহান্নামে যেতে হবে।
কাজেই সরকারকে কওমি খারিজী-আলিয়া ভিত্তিক মাদরাসা বিশেষ করে চরমোনাই, হেফাজত, তাবলীগওয়ালা, জামাতী, লা-মাযহাবীদের মাদরাসাগুলোর অর্থসংস্থানের উৎস খতিয়ে দেখতে হবে, সরকারিভাবে তাদের মাদরাসাগুলোতে যাকাত, ফিতরা, দান-ছদকা, কুরবানীর চামড়া প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে সমস্ত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।