হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা উপলক্ষে সরকারিভাবে বরাদ্দ রাখা হয়। মণ্ডপ প্রতি সরকারি বরাদ্দ হচ্ছে ৫০০ কেজি চাল। এভাবে সারা দেশে ২৮০০০ হাজার মণ্ডপে সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়া ম্যাজিট্রেট, ডিসি, এসপি, এমপি, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে আলাদা অনুদান তো আছেই। ধরে নিলাম প্রতি কেজি চালের মূল্য ৫০ টাকা। তাহলে ৫০০ কেজি চালের মূল্য দাড়ায় ২৫ হাজার টাকা। তাহলে ২৮০০০ হাজার মণ্ডপে সরকারী বরাদ্দ দেয়া হয় = ৭০ কোটি টাকা।
ধরে নিলাম ১টি কোরবানির গরুর মূল্য ৫০ হাজার টাকা। তাহলে ৭০ কোটি টাকা দিয়ে ১৪ হাজার গরু ক্রয় করা যাবে। ধরে নিলাম ৫০ হাজার টাকার ১টি গরুতে ১০০ কেজি গোশত হয় তাহলে ১৪ হাজার গরুতে গোশত হবে ১৪ লক্ষ কেজি । প্রত্যেক দরিদ্র ব্যক্তিকে যদি ২৫০ গ্রাম করে গরুর মাংশ দেওয়া হয় তবে ১৪ লক্ষ কেজি গোশত দেয়া যাবে ৫৬ লক্ষ দরিদ্র ব্যক্তিকে।
অর্থাৎ যে পরিমাণ বরাদ্দ পূজা মণ্ডপগুলোতে মূর্তি পূজার জন্য দেওয়া হচ্ছে, সেই সমপরিমাণ বরাদ্দ যদি ঈদ উপলক্ষে দরিদ্র মানুষগুলোকে দেয়া হতো তবে সেখান থেকে ৫৬ লক্ষ দরিদ্র মানুষ একটি দিনের জন্য পেট ভরে গোশত খেতে পারতো, পূরণ হতো তাদের আমিষের চাহিদা। শুনেছি, সরকার নাকি পশু কোরবানির জন্য স্থান নির্দ্দিষ্ট করেছে। কসাই নির্দ্দিষ্ট করেছে, জবাইকারী হুজুরও নির্দ্দিষ্ট করেছে। খুব ভালো কথা। সরকার তাহলে কোরবানী উপলক্ষে সরকারীভাবে ব্যবস্থা করুক সেখানে সরকারী টাকা দিয়ে গরু ক্রয় করে, সেই গোশত গরীবদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। পূজায় যতটুকু বরাদ্দ দেয়া হয়, ততটুকু বরাদ্দ দিলেই কমপক্ষে ৫৬ লক্ষ দরিদ্র ব্যক্তির মধ্যে ঈদের দিন গোশত বণ্টন করা সম্ভব । সরকার মহোদয়, জনগণের স্বার্থে বিষয়টি একটু ভেবে দেখবেন কি ???